আটলান্টা, (জর্জিয়া) ২৫ জুলাই : বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (BEN) -এর সাউদার্ন ইউএস চ্যাপ্টারের উদ্যোগে “প্রযুক্তি ও পরিবেশ: সহাবস্থান না সংঘাত?” শীর্ষক একটি আলোচনা সভা গত ১৯ জুলাই শনিবার আটলান্টা শহরের একটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী মীর মুজিবুর রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, প্রযুক্তি হলো বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ, যা মানবজীবনের সমস্যা সমাধান ও অগ্রগতির সহায়ক। এটি শুধুমাত্র “Know-How” নয়, বরং “Know-Where”, “Know-When” ও “Know-Why”-এরও সমন্বয়। প্রযুক্তির মূল চর্চা মানব, যন্ত্র ও উপাদান (M-M-M) ঘিরে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ হল সেই পরিপার্শ্ব যেখানে একটি জীবিত সত্ত্বা বসবাস করে ও টিকে থাকে। প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন উন্নয়নের সুযোগ থাকে, তেমনি তার নেতিবাচক দিকও রয়েছে—যেমন দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রযুক্তির ইতিবাচক দিককে কাজে লাগানোই এখন টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রধান লক্ষ্য।
প্রবন্ধ পাঠ শেষে আলোচনায় অংশ নেন আটলান্টা স্পেলমেন কলেজের শিক্ষক ড. কোয়ামে কালিমারা, জর্জিয়া স্টেট ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচিত সদস্য তানজিনা ইসলাম তৃষা, তরুণ এক্টিভিস্ট মানস দে। মুক্ত আলোচনায় মতামত দেন ড. নাসিম জাফর, ড. সায়মা জেরিন, অঙ্কুর পল, রুদ্র শেখর প্রমুখ। অনুষ্ঠানটিতে মডারেটর এর দায়িত্ব পালন করেন বেন সাউদার্ন ইউ এস চ্যাপ্টারের সমন্বয়কারী উৎপল দত্ত।
আলোচনাসভার দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনিন্দ্য আহসান, অনন্যা দাস এবং আদ্রিকা চৌধুরী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবেশ বিষয়ক প্রবন্ধ থেকে পাঠ করেন নাহিদ ফারজানা। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথি ও শ্রোতাদের স্বাগত জানান সংগঠনের পক্ষে সবুর খান।
এই আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রযুক্তি ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং মানবিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রযুক্তির প্রয়োগের গুরুত্ব নতুন করে তুলে ধরা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan